বিএনপির আন্দোলন দমাতে পুলিশের পাশাপাশি দুদককেও সরকার ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যেসব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নাই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এমনকি তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ’
নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথা জনগণ বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের মিত্র দল ছাড়া ভোটে আর কোনো দল অংশ নেয় না।
সরকারের প্রতিহিংসার কারণে দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের নির্মম প্রতিহিংসায় দেশ আজ পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতির মহাতাণ্ডব দুদকের চোখে পড়ে না। ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্কের তিলক তৎকালীন আওয়ামী সরকার লাগিয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দুদক নেয় না। জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক। ’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজ এমন এক সময়ে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের ফরমায়েশি আদেশ দেওয়া হলো, যখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিপ্লব ও গণআন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে। বাধা, প্রতিবন্ধকতা, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, বিপুল দমন-পীড়ন চালিয়েও আন্দোলন নস্যাৎ করতে পারছে না। জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যে মামলায় হয়রানি করে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতেই সরকারের ইঙ্গিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করতে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার মিথ্যে, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ মামলা ও রায় দিয়ে মিথ্যাচার করছে। ’