শরীয়তপুরে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকায় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। এতে ওই অ্যাম্বুলেন্সের ৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদ।
ঘটনার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘হঠাৎ থানার পাশে বিকট চিৎকার চেঁচামেচি শুনে উঠে আসি।
এসে দেখি, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই ছয় জন লাশ হয়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে এনে তাদের নিয়ে গাড়ি ও লাশগুলো উদ্ধার করি। ’
আরও পড়ুন…পেছন থেকে ট্রাকে ধাক্কা দিল অ্যাম্বুলেন্স, ৬ যাত্রী নিহত
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন , ‘লাশ জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ মাকে নিয়ে ভাই-বোন বরিশাল থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। সঙ্গে এক লোকাল সাংবাদিকও ছিলেন। আর অ্যাম্বুলেন্সের চালক-হেলপার। সবাই মারা গেছেন। সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। একদম ভেতরে ঢুকে গেছে। ’
নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮), রোগীর মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), গাড়ি চালক জিলানি (২৮), গাড়ির হেলপার রবিউল ইসলাম (২৬) ও সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)। এর মধ্যে রবিউল ইসলামের বাড়ি ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায়। এ ছাড়া মাসুদ রানা দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বলেন, ভোরে ঢাকাগামী একটি ট্রাকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৬ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আমরা মরদেহ নিয়ে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি।
পদ্মা দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী ও তাদের স্বজনদের নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসছিল। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পৌঁছালে সেটি পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয় জন নিহত হন।