দেশের সব উপজেলায় বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলাতেই কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে, যাতে প্রান্তিক মানুষের ভালো চোখের চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন’ কার্যক্রমের তৃতীয় পর্যায়ে ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার মতো চিকিৎসা সেবাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। ’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘২০০৯ সালে সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে বেড ছিল ৩৮ হাজার, বর্তমানে তা ৬৭ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। ’
ঢাকা মেডিকেলকে ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। ’
দেশে সবক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রণয়ন করার কারণে বর্তমানে অনলাইনে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
আমরা সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ায় করোনায় মৃত্যু কম হয়েছে। আমরা সাহস করে টিকা এনেছিলাম। বিনামূল্যে মানুষকে টিকা দিয়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা চিকিৎসা সেবার সঙ্গে গবেষণাও জোরদার করেছি। দেশের বড় বড় জেলাগুলোতে মেডিকেল করেছি। বিভাগগুলোতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব, সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। মেডিকেল কলেজগুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে দেশের হাসপাতালগুলোতে বেড ছিল ৩৮ হাজার, এটি ৬৭ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। চক্ষু ইনস্টিটিউটসহ প্রতিটি ইনস্টিটিউট আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিষ্ঠিত। শিশু হাসপাতাল প্রতিটি বিভাগে হওয়া উচিত। শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ট্যাক্স তুলে নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনায় ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি। ’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শুরু করতে পারিনি। তবে শিগগিরই করে ফেলবো। ’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অনেকে।