মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত তিনদিন ধরে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. মুজিবুর রহমান।
মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া ফরিদপুর, রাঙ্গামাটি, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দেশে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে অতি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া তথ্যের এই সারণী লক্ষ করেই শ্রীমঙ্গলে তিনদিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। গত ১৭ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে ১৮ জানুয়ারিতে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ১৯ জানুয়ারিতে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং ২০ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
গত কয়েকদিনে শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকালে ও রাতে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা আর প্রবাহিত হচ্ছে হিমেল হাওয়া। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের বীজতলা। গ্রাম ও চা বাগানগুলোতে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।