জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে সেখানে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী ও শিশুসহ সকল মানুষের অর্ন্তভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে বর্তমান সরকার একটানা ক্ষমতায় রয়েছে। এরমধ্যে দারিদ্র্যতার হার শতকরা ৪০% থেকে ১৭% নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। শুক্রবার সকালে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপক কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। যারা এখনো দারিদ্র সীমায় বাস করছেন তাদের জন্য সামাজিকভাবে দারিদ্র ভাতা, শিক্ষাভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, চিকিৎসা ভাতাসহ সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া অব্যাহত থাকবে।
স্পীকার আরও বলেন, অতি সম্প্রতি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে দক্ষিণের এই মাদারীপুর জেলা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে সেটি আমরা দেখতে পারছি। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাই বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করবে।
শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষা ভাতা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র বিমোচনের যে কার্যক্রম চলছে তা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে কৃষকরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। দেশের ব্যাংকিং সেবায় যাতে কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে জন্য এই ধরনের পরিকল্পনা। আমাদের দেশের নারীদের সার্বিক উন্নয়নে এই সরকার ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের দক্ষতা যাচাই, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে আনা, তাদের জামানতবিহীন ঋণ দেয়াসহ আইটি সেক্টরে কীভাবে এগিয়ে আনা যায় তা নিয়ে সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি, মাদারীপুরের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য তাহমিনা সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাসুদ আলমসহ অন্যরা।
পরে শুক্রবার বিকেলে স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মাদারীপুর আচমত আলী খান স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী মাদারীপুর উৎসব-২০২৩, বাণিজ্য মেলা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেনের চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
মাদারীপুর উৎসব প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, মাদারীপুর মানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত অংশ। এ মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের অনেক কৃতি সন্তান। সব কিছু মিলে এই এলাকার ঐতিহ্যকে সকলের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।