ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রধান স্পন্সর থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ভিভো। ভারতীয়দের সমালোচনার মুখে এবারের আসরের প্রধান স্পন্সর চীনা এই কোম্পানি নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
২০১৮ সালে ২ হাজার ১৯৯ কোটি রুপির বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের প্রধান স্পন্সরশীপ পায় ভিভো। সেই চুক্তি অনুযায়ী এবারের আসরেও আইপিএলের প্রধান স্পন্সর হিসেবে থাকার কথা ছিল ভিভোর।
রোববার (২ আগস্ট) আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয় ভিভোকেই প্রধান স্পন্সর হিসেবে রাখা হবে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় এর তীব্র সমালোচনা। এমনকি আইপিএল বর্জনেরও ডাক দেয় ভারতীয় সমর্থকরা।
সমালোচনার মুখে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে চীনের এই মোবাইলফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
মূলত ভারত-চীন সীমান্ত সংকটের কারণে বয়কটের ডাক উঠেছিল। ফলে ভারত সরকার টিকটকসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপকে সেই সংঘর্ষের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ভিভোকে আইপিএলের স্পন্সর থেকে কেন বাদ দেয়া হবে না সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতের নাগরিকরা।
তবে এ নিয়ে বিসিসিআইয়ের মধ্যেও মতবিরোধ ছিল। বিসিসিআইয়ের কড়া সমালোচনা করে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতীয় সেনারা যখন সীমান্তে চীনের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধে পরিবেশ তৈরি হয়ে রয়েছে।
দেশজুড়ে চীনা অ্যাপ বর্জন করা হয়েছে। সেখানে উল্টো পথে হেঁটে বিসিসিআই ভিভোর মতো চীনা সংস্থাকে আইপিএলের স্পনসর হিসেবে রেখে দিয়ে দেশকে অসম্মান করল।’
এবারের আসরে আইপিএলে স্পন্সর হিসেবে না থাকলেও ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩ আইপিএলে স্পন্সর হিসেবে থাকতে চায় ভিভো। এ বছর তারা বিরতিতে যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে এই চীনা কোম্পানিটি।