পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছে র্যাব। এছাড়া ওসি প্রদীপ কুমারসহ রিমান্ডে যাওয়া তিনজনের রিমান্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ দিন করার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজা আদালতে এই রিমান্ড আবেদন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব সদর দপ্তর।
র্যাব সূত্র জানায়, আদালতের দেয়া ১০ দিন সময়সীমার মধ্যে তিন আসামির আসামির সাত দিনের রিমান্ড কার্যকর সম্ভব নয়। তাই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এই সময়সীমা বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাকি চার আসামির নতুন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন র্যাব-১৫ এর সেকেন্ড ইন কমান্ডার (টুআইসি) মেজর মেহেদী হাসান। শুনানি শেষে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া চেকপোস্টের ইনচার্জ লিয়াকত এবং এসআই নন্দলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এছাড়া আত্মসমপর্যণ করা বাকি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়াকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে আত্মসমর্পণ না করা পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর অব. সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং ২ নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়া আরও সাতজনকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
আলোচিত এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।