পটুয়াখালীতে স্বামীর পরকীয়ার বলি হোলো ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ চম্পা বেগম।
জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর রুস্তম গ্রামে গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী সকাল আনুমানিক ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান।
এ ঘটনায় নিহত চম্পার ভাই বাদী হয়ে গলাচিপা উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, এম পি মামলা নং ২১/২০ তাং ০২/০৩/২০২০ইং।
আসামীরা হলেন নিহতের স্বামী আল আমিন কাজী, শশুর আঃ জলিল কাজী,ভাশুর রুহুল আমিন কাজী, দেবর আসাদুল কাজী,শাশুরী ফাতেমা বেগম,ভাশুর ছোবহান কাজী,ও রুহুল আমিন কাজীর স্ত্রী রিতা বেগম।
মামলার বিবরনে জানাগেছে বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের জন্য অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো, এবং পরে যৌতুক ছারাও পরকীয়ায় আশক্ত হয় স্বামী আল আমিন।
ঘটনার দিনও তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগরা বিবাদ ঘটে। প্রতক্ষ্য দর্শী ও নিহতের ছেলে ও মেয়ে জানায় কিছু পূর্বে তাদের ঝগরা বিবাদ ঘটে এর পরে পাশের বাড়ীর এক মহিলা এসে বলে যে, চম্পা গলায় রশি দিয়েছে।
তাতক্ষনিক বাড়ীর পাশের লোকজন এসে তাকে স্থানীয় ডাঃ দেখালে ডাঃ চম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনা স্থল ও মামলায় কোথাও আত্নহত্যার বিষয়টি স্পস্ট নয়।
এ ছারা ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামী শশুর সহ সকল আসামীরা পলাতক থাকায় ধুম্রজাল সৃস্টি হয়েছে। এ দিকে চম্পার নিহতের খবর এলাকায় ছরিয়ে পরলে সকল আসামীরা জাল নৌকা ও গরু বিক্রি করে তারা পালিয়ে জায়, বর্তমানে সকল আসামীরা পলাতক রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকার একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ রয়েছে। চম্পার অবুজ শিশু দুটি নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন নিহতের শাশুরী।
সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানাজায় প্রায় ১৫ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে রাঙ্গাবালী উপজেলার চর রুস্তম গ্রামের জলিল কাজীর ছেলে আল আমিন কাজীর সাথে বিয়ে হয়, তাদের সংসারে মিম (৯) ও মনির (৫) নামে দুটি সন্তান রয়েছে, এ ছারা তার পেটে ৮ মাসের একটি বাচ্চা রয়েছে বলে তার পরিবার নিশ্চিত করেছে। নিহতের ভাই হাছান বলেন আল আমিন তার পূর্বের স্ত্রীর সাথে পূনরায় যোগাযোগ করছে বিষয়টি নিয়ে তার বোন চম্পা একাধিক বার পরিবারকে অবহিত করেন, পরিবার থেকে আল আমিনের বড়ভাই ও তার বাবার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি মিমাংসার চেস্টাকরা হোলেও নারী লোভী বল আমিন ফিরে আসেনি সে তার পরকীয়া চালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের স্বামীর বাড়ী চর রুস্তম এর একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন,স্বামীর পূর্বের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো, ঘটনার দিনও সকালে তাদের ভিতরে ঝগড়া হয়, এ সময় স্বামী আল আমিন তার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা চম্পা বেগমকে মারধর করে হয়ত তখন চম্পা মারাগেলে দেখে তাকে ঘরে দরি দিয়ে ঝুলিয়ে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। ইউডি মামলাটি সংযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিহতের পরিবার বলছে আমরা গরিব অসহয় আমরা আমাদের বোন হারানোর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।