সাম্প্রতিককালে মানব পাচার প্রতিরোধে র্যাব-৮, বরিশাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত ২৮ মে ২০২০ইং তারিখ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ শহর মিজদায় আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র অভিবাসন প্রত্যাশিদেরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পাওয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশীসহ ৩০ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে এবং ১১ জন বাংলাদেশীকে গুরুতর আহত করে। র্যাব-৮ লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচারকারীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতঃ দ্রুত গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ জানতে পারে যে, র্দীঘদিন যাবৎ একটি মানব পাচারকারী চক্র মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মোটা অংকের বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচার করছে। এদের শিকার মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উঠতি বয়সের বেকার যুবকরা। বর্ণিত চক্রটি বাংলাদেশ থেকে যুবকদের মধ্যপ্রাচ্য পাচার করে থাকে। তৎপরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর
একটি চৌকস আভিযানিক দল ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা ০৭:০০ ঘটিকার সময় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানাধীন আমখোলা ইউনিয়ন এর কিসমত বাউরিয়া গ্রাম থেকে মোঃ সোহরাব গাজী (৫০), পিতা-মৃত রকমান গাজী, সাং- কিসমত বাউরিয়া, ইউনিয়ন-আমখোলা, থানা-গলাচিপা, জেলা- পটুয়াখালীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেন এবং প্রাপ্ত গোপন তথ্য সমূহর সত্যতা পাওয়া যায়।
ধৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ পলাতক আসামী ১। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০), পিতা- মোঃ সোহরাব গাজী, সাং- কিসমত বাউরিয়া, ইউনিয়ন-আমখোলা, থানা-গলাচিপা, জলা-পটুয়াখালী (বর্তমান ওমানে রয়েছে, ও ২। মোঃ গনি মিয়া বয়স-অজ্ঞাত, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত, জেলা-কুমিল্লা (বর্তমান ওমান রয়েছে ) এর সাথে যোগসাজসে অবৈধভাবে মধ্য প্রাচ্যের দেশ ওমানে বাংলাদেশ হতে বিভিন্ন উপায় মানব পাচার করে। আটককৃত আসামীকে জেলার গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়ছে।