বাঙ্গালীর লৌকিক দেবী মনষাকে পূজা দিতে নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন পটুয়াখালীর গলাচিপায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। প্রায় মাস খানেক সময় ধরে মা মনষাকে তৈরি করছেন পাল সম্প্রদায়ের লোকজন। প্রতিমা শিল্পিরা তুলির কারুকাজ শেষ করে সোমবার চক্ষু দান করে দেবী মূর্তিকে পূজার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করেছেন।
পূজার্থীরা জানিয়েছেন গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের তুলনামূলক বেশি নিম্ন বর্গের লোকজন যুগ যুগ ধরে এই পূজা সাড়ম্বর উৎসবের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। সুরেলা কন্ঠে নারীরা মনষা মঙ্গল বা পদ্ম পূরান পাঠ করেন মাস কাল সময়।
এই সময়ে সম্পূর্ণ করেন নানা আচারাদি। পূজার আগের দিন সংযম পালন করেন নারীরা। পূজার দিন উপবাস করেন। গলাচিপা উপজেলা আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামে প্রতি বছর মা মনষা গোবিন্দ গোস্বামীর মন্দিরে পূজা দেওয়া হয়। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শেষ দিন এই পূজার আয়োজন করা হয়। মনষা দেবীকে অর্ঘ্য দিতে ভক্তরা দুধ, কলা, সরা,
ঘটসহ নানা উপাচার সংগ্রহ করেন। অনেকে মন্দিরে এবং অনেকে ব্যক্তিগত ভাবেও এ পূজা সম্পন্ন করেন। এ বিষয় নিয়ে গোবিন্দ গোস্বামী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মা মনষার পূজা আমার মন্দিরে হচ্ছে। করোনা ভাইরাস এর কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আমার মন্দিরে ভক্তরা আসেন এবং এখানে প্রসাদের ব্যবস্থা করা থাকে।
দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। রাতে শিল্পি দিয়ে কবি গানের ব্যবস্থা করা হয়। এ বিষয় নিয়ে আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনির মৃধা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় গোবিন্দ গোস্বামীর মন্দিরে এ বছরও পূজা পরিচালনা হচ্ছে।