হাসপাতালে মেঝেতে হাটু পানি। জরুরি বিভাগ, শিশু ওয়ার্ডসহ বেশিরভাগ এলাকা পানির নিচে। বলছিলাম চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের কথা। জোয়ারের পানি আর অতিবৃষ্টিতে প্রায়ই এমন অবস্থা হয় এই হাসপাতালটির। আর এতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
বঙ্গাপোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে গত দুদিন ধরেই চলছিলো থেমে থেমে বৃষ্টি। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নগরীর বেশকিছু এলাকায়।
নিচু এলাকা হওয়ায় প্রতিদিনই একটি নির্দিষ্ট সময় জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত থাকে নগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলা। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে হাসপাতালটি।
হাসপাতালটির নিচতলায় রয়েছে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, ইএনটি ও ৮০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড। জোয়ারের পানি আসলে শিশু রোগীদের উপরের তলার ওয়ার্ডে স্থানান্তর করতে হয় গাদাগাদি করে।
বছরের পর বছর এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সিডিএ-এর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজের ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর আবারো সেই পুরোনো আশ্বাসের বানীই শোনালেন সিডিএ চেয়ারম্যান।
ইনডোর ও আউটডোর মিলিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসেন অন্তত দেড় হাজার রোগী। এর মধ্যে প্রসূতি মা এবং নবজাতকের সংখ্যাই বেশি।