অস্থির চালের বাজার। রেকর্ড পরিমান উৎপাদনের পরও কেন দাম বাড়ছে তার সদুত্তর নেই কারো কাছেই। অটো মিল মালিকদের অভিযোগ, একটি শক্তিশালী গোষ্ঠির হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে চালের বাজার।
মৌসুমে কমদামে ধান কিনে বাজার অস্থির করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে খাদ্যসচিবের হুঁশিয়ারি সিন্ডিকেট হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। বাড়তি দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও আশ্বাস তার।
বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। উৎপাদনে সারাবিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। যুক্তরাষ্টের কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত চালের পরিমান ৩ কোটি ৬০ লাখ মে.টন। আর এ বছর সবচেয়ে বেশি ১৪ কোটি ৯০ লাখ মে.টন উৎপাদন করে চীন রয়েছে সবার উপরে। এর আগে তৃতীয় স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়া নেমেছে চারে।
তবে বাস্তবতা যেনো ধার ধারে না হিসেবের। সবচেয়ে বড় ধানের মৌসুম শেষেও বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। কদিন আগেও যেই মোটা চাল বিক্রি হতো ৩৮ টাকায় তা এখন ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা। কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে মিনিকেট চাল। চিকন চালের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩/৪ টাকা।
গেলো কয়েক বছর ধরেই অস্থির চালের। এবারও বন্যার অজুহাতে একটি গোষ্ঠি দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্রুত আমদানীর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, বাজারে চালের সংকট নেই বলে দাবি করছেন খাদ্য সচিব ড. নাজমানার খাতুন। কদিনের মধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও দাবি তার। সিন্ডিকেট হলে ছাড় নয় বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।