কাওমি মাদরাসার পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে একাডেমিক কার্যক্রম (শিক্ষা কার্যক্রম) বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কেবিনেট সচিব।
সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজকে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা হল কওমি মাদ্রাসা আপিল করেছিল, তারা উপরের লেভেলের পরীক্ষাগুলো নিয়ে নিতে চায়, সেটায় গভর্নমেন্ট এগ্রি করেছে। ওদের পরীক্ষাগুলো ডিগ্রি ও মাস্টার্স লেভেলের। জেনারেল মাদ্রাসা খুলবে না, ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুবিধা মত সময়ে কওমি মাদ্রাসাগুলো এসব পরীক্ষা নিতে পারবে বলে জানান সচিব।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ছুটি চলবে বলে আপাতত ঘোষণা দেওয়া আছে। তবে এরপরও স্বাভাবিক ক্লাসে ফেরার পরিবেশ হবে কি না, সে নিশ্চয়তা নেই।
এই পরিস্থিতিতে কিতাব বিভাগের কার্যক্রম চালু ও পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে গত ১৭ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে কওমি মাদ্রাসাগুলো। ওইদিন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছেও তার অনুলিপি দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কওমি মাদ্রাসাগুলোকে ডিগ্রি ও মাস্টার্স পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও কিতাব বিভাগ চালুর অনুমতি সরকার দেয়নি।
কওমি মাদ্রাসিার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদ এখন মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমান মর্যাদা পাচ্ছে।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদসহ কয়েকশ আলেমের উপস্থিতিতে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে কওমির সনদকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের বছর সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে সংসদে আইন পাস হয়।