পটুয়াখালীর গলাচিপায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে মোসা. নুপুর বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূকে। স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে স্থানীয়ভাবে অনেক সালিশ বেঠক করেও কোন লাভ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই গৃহবধূ।
গলাচিপা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে ১৩০ ব্র্যাক আবাসনের মো. কবির বেপারীর মেয়ে মোসা. নুপুর বেগম। এই ঘটনায় ওই গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২১৭/২০। গত ৪/৪/২০১৭ ইং তারিখে ইসলামী শরাহ শরীয়ত মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে মোসা. নুপুর বেগমের সাথে বাউফল উপজেলার কর্পুরকাঠী গ্রামের আব্দুল ছালাম এর ছেলে আব্দুল কাদেরের সাথে বিবাহ হয়।
বিয়ের তিন বছর দুই মাস পর যৌতুকলোভী স্বামী আব্দুল কাদের টাকার লোভে মোসা. নুপুর বেগমের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। গরীব বাবা মো. কবির বেপারী মেয়ের সংসারে সুখের কথা চিন্তা করে দুই লাখ টাকা নগদ মেয়ের জামাইকে দেয়। এর মাসখানেক পর আবারও স্ত্রী নুপুর বেগমের কাছে যৌতুক দাবি করে আব্দুল কাদের।
যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় চলতি বছরে মারপিট করে স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেয় মোসা. নুপুর বেগমকে। ওইদিন বাধ্য হয়ে কবির বেপারী তার মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। স্বামীর সংসারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার বৈঠক হলেও স্ত্রী নুপর বেগমকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে নুপুর বেগম স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে গত ১৮/০৬/২০২০ ইং তারিখে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। গৃহবধু নুপুর বেগম জানান,
আমার বাবা গরীব হওয়ায় দুই লাখ টাকা এনজিও থেকে ঋণ করে দিয়েছেন আমার সুখে জন্য। কিন্তু কপাল খারাপ যে এমন স্বামী পেয়েছি! আমার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করলে নাকি ১০ লাখ টাকা পাবে, তাই আমাকে তাড়াতে এই ‘নির্যাতন ও যৌতুক’ দাবি করেছে।