বিজ্ঞান মানুষের চলার চালিকাশক্তি। যে বিজ্ঞান মানুষকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ সোপান অবদি পৌঁছে দিয়েছে। দিয়েছে সময়ের তালে তালে ডিজিটাল নামে একটি শব্দ। ডিজিটালের ছোঁয়ায় আজ আলোকিত প্রতিটি ঘর। বিজ্ঞানের জ্ঞানে পরিপূর্ণ গোটা বিশ্ব।
যার অবদানে আজ মানুষ পাচ্ছে ঘরে থেকেই সবকিছুর সেবা। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও মৃত্যু ছাড়া ভবিষ্যৎ করনিয় সম্পর্কে আগে থেকেই দিয়ে দিচ্ছে নানা ধরণের তত্ব ও তথ্য।
সমাজকে আরো সুন্দরের রাণী করে তুলতে বেশ কিছু তরুণরা হাতে নিয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি। যাদের যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে ঝিমিয়ে পড়া বিজ্ঞান প্রেক্ষাপট পরিবর্তণের ছোট্ট ভাবনা দিয়ে। যে ভাবনা আজ বড় কোন স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাত দিতে উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
বরগুনা সাইন্স সোসাইটি (বিএসএস) নামে একটি সংগঠন বিজ্ঞানের সূচনা, আবিষ্কৃত ঘটনা ও এর কাজের ধারাবাহিকতা অর্থাৎ এর সম্পর্কে মূল ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে, হয়েছে কিংবা হবে, তা নিয়ে গবেষণা করা। বিজ্ঞান পড়ালেখার মূল বিষয় হিসেবে না নিলেও প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে যাতে বিজ্ঞান মানষিকতা তৈরি হয়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোর মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানকে সচল রেখে এর সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা।
সর্বদক্ষিণে অবস্থিত জেলা বরগুনার নেটওয়ার্কিং থেকে যোগাযোগ-প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানব দুর্ভোগের সব থেকে বেশি মোকাবিলা করতে হয়। এই দুর্যোগগুলো অতি নিকট হয়ে অনুধাবন করার জন্য বরগুনা সাইন্স সোসাইটি বিশ্বাস করে এর সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান তাঁদের অর্থাৎ ঘটনাস্থলের সাধারণ মানুষের কাছেই আছে।
যারা এর সমাধান বিজ্ঞানের সহায়তায় করতে পারবে। যার ধারাবাহিকতায় বরগুনার বিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের নানা ধারণের কর্মশালা দ্বারা বিজ্ঞানের জ্ঞানকে অনুশীলনের মাধ্যমে এর বিষয় বস্তু তুলে ধরতে যাচ্ছেন। সম্ভব্য আগামি পাঁচ সেপ্টেম্বর জেলা গণগ্রন্থাগার অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী “বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বিজ্ঞানে ভবিষ্যৎ” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
যেখানে বিজ্ঞানকে সুন্দর ও সহজলোভ্য করে মস্তিষ্ক বিকশিতের সহায়তায় ভূমিকা রাখতে অতিথি বক্তা হিসেবে আসবেন ২০১৮ সালের জাতিয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। যিনি পলিথিন থেকে পেট্রোল উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন করেছেন। এছাড়াও থাকবেন, ২০১৯ সালের জাতিয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবক মোঃ আহসান হাবিব। যিনি অন্ধদের চলতে সহায়ক হিসেবে ডিজিটাল ছড়ি উদ্ভাবন করেন।
“বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বিজ্ঞানে ভবিষ্যৎ” শীর্ষক কর্মশালায় থাকছে বিজ্ঞান তত্ব, কল্পবিজ্ঞান চলচিত্র, স্থাপত্য বিজ্ঞান ও যান্ত্রিক বিজ্ঞান প্রকল্প প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা, তরুণ উদ্ভাবকদের অভিজ্ঞতা ও বিশ্বব্যাপী শিশু গবেষকদের আবিষ্কার নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন, বিজ্ঞানে ভবিষ্যৎ বিষয়ের উপরে আমন্ত্রিত অতিথিদের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য।