সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের বাজারমূল্য বেশি। এ কারণে নীলফামারীতে বোরো চাল শতভাগ সংগ্রহ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত ৭ মে থেকে শুরু হওয়া চাল সংগ্রহ কর্মসুচীতে এখন পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। এ অবস্থায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মিল মালিকরা।
চলতি বোরো মৌসুমে ১৯ হাজার ৬১২ মেট্রিক টন মোটা চাল সংগ্রহ করতে জেলা খাদ্য বিভাগ ৫৬৯টি মিলের সাথে চুক্তি করে। গত ৭মে থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ চাল।
মিল মালিকরা জানান, বাজারে ৯৫০ থেকে ৯৭০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে বোরো ধান। এ ধান থেকে চাল উৎপাদনে প্রতি কেজির খরচ পড়ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামের থেকে প্রতি কেজিতে ৪টাকা থেকে ৬ টাকা ব্যয় বেশী হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। চলতি বোরো মৌসুমে অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে এমন দাবিও তাদের। এ অবস্থায় সরকারের কাছে বিশেষ প্রণোদনার পাশাপশি সময় বর্ধিত করার দাবী জানিয়েছেন তারা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূইয়া বলছেন, এ বছর শতভাগ চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। তবে লাভ ক্ষতির হিসেব না করেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল সরবরাহের জন্য মিলারদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযানের সময় সীমা নির্ধারণ করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ।