সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আরও দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ জন।
পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক ও বাকি চারজনই অটোরিকশার যাত্রী।
শনিবার (২৯ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৩ জন। নিহতরা হলেন-ওই উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের অটোচালক বাহার উদ্দিন (৪০), ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিফর গ্রামের মৃত আজমল আলীর ছেলে লাল মিয়া (২৭) ও একই ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের জাকারিয়া। তবে, নিহত অন্য দুই যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদের মধ্যে জাকারিয়া ও অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছর বয়সের এক কিশোর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফারুক আহমদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে বড়লেখার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী একটি বাস ছেড়ে যায়। এ সময় বাসটি গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী এলাকায় পৌঁছে একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুইজন। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। পরে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দু’জনের মৃত্যু হয়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জন মারা গেছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ওই এলাকায় প্রায় আধা ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে গাড়িগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
মরদেহগুলো সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।