December 25, 2024, 5:21 pm

কলাপাড়ায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যোর করে ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট খোলায় সংবাদ সম্মেলন

রনি মিয়া, কলাপাড়া পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : Friday, September 4, 2020,
  • 156 Time View

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মাইটভাঙ্গা গ্রামের ইউসুব গাজী কে দেশিয় অস্ত্রের মুখে ঠেকিয়ে জোর করে ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট খোলার বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেনবর শুক্রবার সকাল ১১ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব হল রুমে ভূক্তভূগী মোঃ ইউসুব গাজী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তাব্য পাঠ করেণ। লিখিত বক্তাব্যে উল্লেখ করেন ৩৪ নং জে এল লতাচাপলী মৌজায় এস এ ১০৮৬ নং খতিয়ান হইতে আমি আমার ভোগদখলিয় ৩৩ শতাংশ জমি বিগত ১০/১২ বছর পূর্বে বিক্রয় করার প্রস্তাব করিলে আঃ রহিম ফরাজি আমার সে জমি ক্রয় করার ইচ্ছে পোষন করেন। উল্লেখিত ৩৩ শতাংশ জমি বাজার যাছাই মতে ৩,৫০,০০০ টাকা ধার্য করিয়া বায়না বাবদ ৩,০০,০০০ টাকা নগদ গ্রহন পূর্বক একটি বায়না চুক্তিপত্র দলিল সম্পন্ন করি। সেখানে এক বছরের মধ্যে বাকি ৫০,০০০ টাকা পরিশোধ করিয়া দলিল নিবার কথা থাকলেও আঃ রহিম ফরাজী বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় এবং আমার ঐ জমি ক্রয় করবে না বলে আমার কাছে বায়না দেয়ারর ৩ লক্ষ টাকা ফেরৎ চায়। আমার বাসা আর আঃ রহিম ফরাজীর বাসা একই এলাকায় বিধায় বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে আমি বায়নার দুই বছরের মধ্যে ৩ লক্ষ টাকা ফেরৎ দেই। এবং বায়না চুক্তিপত্র ফেরৎ চাই কিন্তু ফেরৎ দেয়নি বরং দুই বছর পর টাকা ফেরৎ দেয়ায় তিনি আমার কাছে যোর করে আরও ৫০ হাজার টাকা চায় টাকা না দিলে আমাকে চুক্তি পত্র দিবেনা বলিয়া ঘুরাইতে থাকে। ২৪.০৮.২০২০ ইং তারিখ আমি নিজেস্ব জরুরী কাজে আসিলে পূবর্ পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থাকা অর্থলোভী সন্ত্রাসী আঃ রহিম ফরাজী ও তার অপরাপর আত্মীয় স্বজন নিয়া আমাকে আলীপুরের বক্স কালভার্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে অবরুদ্ধ করিয়া রহিম ফরাজীর আলীপুরস্থ বাসায় নিয়ে ঘরের ভিতর আটকিয়ে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে। এক পর্যায় আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়া দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রের মুখে আল আরাফাত ইসলামি ব্যাংকের এক কর্মচারী ভাড়া করার সুযোগে রহিম ফরাজীর নেতৃত্বে ব্যাংকের কতিপয় কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশে ঐ দিন দুপুরের পরে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ছাড়াই ব্যাংকের একজন স্টাফ পরিচিত হইয়া একটি সঞ্চায়ী হিসাব খুলেন,যার হিসাব নং ১২০১১২০০৪২৮৪৬। শুধু তাই নয় ঐ দিন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া চেক বই দেওয়ার বিধান না থাকিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অতি উৎসায়ী হইয়া ২০ পাতার ৯৯১৯৪২১ হইতে ৯৯১৯৪৪০ পর্যন্ত একটি চেক বই ইস্যু করিয়া দেন।ব্যাং হিসাব সম্পূর্ন করার পরে আমাকে পূনরায় রহিম ফরাজীর বাসায় নিয়া যায়। এবং আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অস্ত্রেও মুখে ৫ টি বøাংক চেকে স্বাক্ষর রাখে। পাশাপাশী আলিপুর বাজার থেকে ৩ টি ১০০ টাকার ন্ন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প (কহ-৬১৩৯৩৩৪,কহ-৬১৩৯৩৩৫,কহ-৬১৩৯৩৩৬) আনিয়া স্বাক্ষর রাখিয়া ২৪ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬.৩০ সময় আমাকে ছাড়িয়া দেয় ঐ বাসায় যে সকল ঘটনা হয়েছে তা কাউকে বলিলে আমাকে চিরতওে শেষ করিয়া দিবে বলিয়া হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর ২৫ আগষ্ট আঃ রহিম ফরাজী আমার সে চেকের মধ্যে একটি চেক নিয়া ১০ লক্ষ টাকার ডিজঅনার করে। কি ভাবে এক দিনের মধ্যে হিসাব খুলিয়া চেক বই ইস্যু আবার পরের দিন ফোন পর্যন্ত না দিয়া চেক ডিজঅনার করা এই সব ষড়যন্ত্রে আমি ২৬ আগষ্ট কলাপাড়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি , মামলা,নং।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71