মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো চীনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পট গ্রেট ওয়াল বা চীনের মহাপ্রাচীর। তবে চীনে করোনা প্রভাব কমে আসায় প্রায় সব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। তবে পর্যটন স্পটে যেতে হলে মাস্ক পড়াসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম স্থাপনা চীনের প্রাচীর বা গ্রেট ওয়াল। সারাবিশ্বে চীনকে মর্যাদাও এনে দিয়েছে এই অবিশ্বাস্য স্থাপনাটি।
কিন্তু গেলো বছরের নভেম্বরে আঘাত হানা নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় চীনের সব ধরণের পর্যটন স্থান এমনকি এই গ্রেট ওয়ালও। করোনার প্রভাব কমে এলে আবারও খুলে দেয়া হয় সব পর্যটন কেন্দ্র।
পাহাড়ঘেরা অপরূপ সবুজে ঘেরা চীনের প্রাচীর বা গ্রেটওয়াল অব চায়না। পৃথিবীর জনবহুল দেশ চীনের বেইজিংয়ে, অবস্থিত পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যগুলোর মধ্যে একটি।
পৃথিবীর এই আশ্চর্য ও দীর্ঘতম প্রাচীরের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬৯৫ কিলোমিটার। উচ্চতা ৪.৫৭ থেকে ৯.২ মিটার। আর চওড়ায় প্রায় ৯.৭৫ মিটার বা ৩২ ফুট।
এই মহাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ ২২১ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে শুরু হয়ে, শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ বছর। দৃষ্টিনন্দন এ প্রাচীর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ইট আর পাথর।
প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে চীনের এই মহাপ্রাচীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন লাখো দর্শনার্থী। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় দর্শনার্থীদের পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার প্রতিযোগিতা।
পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার এই প্রতিযোগিতা চলে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত।
করোনা শেষ হলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীর এই সপ্তম আশ্চর্যের একটিতে।