ভাদ্রের শেষ সপ্তাহে আবারও পানি বাড়ায় তিস্তায় এখন বিলীন হওয়ার পথে রংপুরের গঙ্গাচরার পশ্চিম ইচলিগ্রামসহ নানা স্থাপনা।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তা শাসনে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে লাখো মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। এ ব্যাপারে এখনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের জুলাইতে তিস্তা গ্রাস করেছিলো চারন সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতি বিজরিত গঙ্গাচড়া উপজেলার শংকরদহ গ্রামটি। এখন পার্শ্ববর্তী ইচলি গ্রামটিও গিলছে নির্দয়ভাবে।
ভাদ্রের শেষ সপ্তাহে এসে পানি বাড়ায় ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তিস্তার ভাঙ্গন। এর মধ্যেই এই গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙ্গন ধরেছে নতুন গতিপথ তৈরি করে বয়ে যাওয়া এসেকেএস বাজার ব্রীজের পাশের পুর্ব ইচলি গ্রামের ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন সড়কেও। তিস্তার ভাঙ্গনে নিঃস্ব এসব মানুষগুলোর চোখে মুখে কেবলই অন্ধকার।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জানালেও কোনো সাড়া পাননি।
এমন বাস্তবতাতেও তিস্তা শাসনের বিষয়ে তেমন কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
তারা বলছে, বিষয়টি এখনও সমীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে
টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে এখনই তিস্তা শাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে, এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকায় যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তা আরও ভয়াল রুপ নেবে, এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের।