পটুয়াখালীর গলাচিপায় সুশীলন এমার্জেন্সি নিউট্রিশন প্রকল্পের আওতায় অপুষ্টিজনিত ১৪ জন শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। শনিবার দিনভর গলাচিপা উপজেলায় অপুষ্টিজনিত শিশুদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে দিয়ে বিনা মূল্যে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয় নিয়ে দ্বীপ অঞ্চল চর কাজলের অপুষ্টিতে ভোগা এক শিশুর বাবা মো. কবির হাওলাদার, গোলখালী ইউনিয়নের অপুষ্টিতে ভোগা এক শিশুর মা মোসা. হাওয়া বেগম বলেন, আমাদের শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগতেছিল। সুশীলন এমার্জেন্সি নিউট্রিশন প্রকল্পের গলাচিপা শাখার কর্মকর্তারা এসে আমাদের শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করে ব্যাপক সুবিধা দিচ্ছেন।
আমাদের শিশু এখন সুস্থতার পথে। গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা শোলেকা রানী দাস বলেন, শিশু ওয়ার্ডে সুশীলন এমার্জেন্সি নিউট্রিশন প্রকল্পের আওতায় ১৪ জন শিশুকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি সকল শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবে। সুশীলন এমার্জেন্সি নিউট্রিশন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা ম্যানেজার মো. হাসান মাহমুদ বলেন, আমার সুশীলন এমার্জেন্সি নিউট্রিশন প্রকল্পের আওতায় ইউনিসিফের আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলার অপুষ্টিজনিত সকল শিশুকে সেবা দিয়ে যাব এবং আর্থিকভাবে তাদের সহায়তা করব।
এ পর্যন্ত আমাদের অফিসে ৮৪ জন স্যাম বাচ্চাদের তালিকা করা হয়েছে। ১৪ স্যাম বাচ্চাকে প্রাথমিকভাবে গলাচিপা হাসপাতালে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে বাকি শিশুদের হাসপাতালে সেবা দেওয়া হবে। এ বিষয় নিয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুশীলন এমার্জেন্সি নিউট্রিশন প্রকল্পের আওতায় শিশু বাচ্চাদেরকে দেখা হচ্ছে। সকল শিশুই সুস্থ হয়ে যাবে।
গলাচিপা উপজেলা প.প ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের পাশাপাশি এমার্জেন্সি নিউট্রিশন প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফের আর্থিক সহযোগিতায় সুশীলনের এ উদ্দোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অপুষ্টকর শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করে বিনা মূলে চিকিৎসা সেবা ও আর্থিক সহায়তা একটি মহতি উদ্দোগ। তিনি আরও বলেন, আমাদের সেবা শিশুদের জন্য অব্যাহত থাকবে। উপজেলার সকল শিশুদের জন্য শিশু ওয়ার্ড খোলা আছে, আপনার আপনাদের শিশুদের যেকোন সমস্যায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।