সৌদিআরবে ১৭ বছর প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে ফিরে সৌদির সেরা ৩ জাতের খেজুর উৎপাদন করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছেন বরিশালের উজিরপুরের ধামসর গ্রামের আল-মামুন। ৩০ শতাংশ জমিতে ৫ বছর আগে লাগানো ৫০টি গাছের মধ্যে এবার ৩টি গাছে ফলন এসেছে।
শেষ পর্যন্ত টিকেছে একটি গাছের খেজুর। আর এতে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন করে আরও ৪০ শতাংশ জমিতে খেজুর বাগানের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
সৌদি খেজুর উৎপাদনের খবরে তার বাগান দেখতে আসছে অনেকে। সৌদি খেজুর বাগান করলে কারিগরি সহ সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা বলেন বরিশালের কৃষি কর্মকর্তারা।
সৌদিতে ১৭ বছরের প্রবাস জীবনে মরুভূমির মধ্যে খেজুর বাগান দেখে নিজ দেশে এই জাতের খেজুর বাগান করার স্বপ্ন জাগে তার। ১০ বছর আগে সৌদি থেকে খেজুর গাছের ৭টি ড্যাম (চারা) দেশে পাঠালোও সেগুলো বাঁচাতে পারেনি তার বাবা।
২০১৩ সালে সৌদি আরব থেকে পৃথিবীর সেরা আজোয়া, আম্বার, চুক্কারী জাতের কিছু খেজুর দেশে এনে তার বিচি দিয়ে চারা গজিয়ে ২০১৫ সালে ৩০ শতাংশ জমিতে সখের খেজুর বাগান করেন তিনি। তখন অনেকে উপহাস করলে থেমে থাকেননি। কঠোর পরিচর্যায় ৫০টি গাছের মধ্যে ৫ম বছরে তার ৩টি গাছে খেজুর ধরে।
পরাগায়ন সহ নানা কারণে শেষ পর্যন্ত একটি গাছের ফল টিকেছে। ওই গাছের ৪০ কেজির বেশি খেজুর নিজে এবং আত্মীয়-স্বজদের খাইয়েছেন। অনেকেই আসছেন সৌদি খেজুর বাগান দেখতে।
সাফল্য ধরা দেওয়ায় এবার তিনি আরও ৪০ শতাংশ জমিতে সৌদি খেজুর বাগান সম্প্রসারণ করছেন। সৌদি আরবে বালুর মধ্যে খেজুর গাছ হলে বাংলাদেশের মাটিতে আরও বেশি সফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। তরুন-যুব সমাজ সৌদি খেজুর চাষে আত্মনিয়োগ করলে সাফল্য আসবে দৃঢ় বিশ্বাস তার।
বরিশালের কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন, আল-মামুন সৌদি খেজুর চাষে সাফল্য পেয়েছেন। খেজুর চাষ খুবই লাভজনক। পুস্টিকর খাবারও। কৃষকরা উদ্যোগ নিলে সব ধরনের সহায়তা দেবেন।
সৌদি খেজুর ছাড়াও পাকিস্তানী ও চায়না মাল্টা, কমলা চাষ করছেন সফল কৃষি উদ্যোক্তা আল মামুন।