কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়ন এর সাংবাদিক নজরুল ইসলাম নাজির আহমেদ (৪০) কে একটি ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার(৮ অক্টোবর) বিকেলে পারিবারিক একটি গ্রাম্য সালিশি শেষ করে বাড়িতে আসার পথে দেবীদ্বার থানার এসআই আব্দুর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়ার এক দিন আগে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সিনিয়র সহ -সভাপতি নজরুল ইসলাম (নাজির)আহমেদ বর্তমান বহিস্কৃত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে,বর্তমান বহিস্কৃত জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান একদিকে বিএনপি ও জামাত শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং প্রতিবছর ওমরা হজ করান,অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রবীণ-নবীন ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক স্পর্শ কাতর মামলায় জড়িয়ে দেন।
২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করা কমিউনিটি নেতা সাংবাদিক নজরুল ইসলাম নজির আরো বলেন,কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে আমি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবাদ করে আসছি। জাহাঙ্গীর আলম প্রতি বছর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সহ, বিএনপি’র নেতাদের নিয়ে নিজ খরচে হজ্ব করেন। অথচ এলাকায় বিচারের নামে মানুষের উপর চালায় অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন। জরিমানার নামের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় মানুষের কাছ থেকে।
এছাড়াও ইউনিয়নের সরকারি প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি করেছে এই জাহাঙ্গীর আলম। তার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউনিয়নের কোন মানুষ মুখ খুললেই মামলায় জড়িয়ে দেয় জাহাঙ্গীর আলম। যিনি ইতিমধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষক মারধর ও শিশু নির্যাতন মামলায় ২১দিন পলাতক থেকে গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে গত ১০ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত হন তিনি। এরপর থেকে সে ক্ষুব্দ হয়ে বেপরোয়াভাবে আমাকে ও তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তার লালিত কিছু সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যবহার করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু করে।
কিছুদিন আগে একটি মিথ্যা মামলায় আমি সহ এলাকার অত্যন্ত প্রবীণ আওয়ামী লীগ পরিবারদের জড়িয়ে দেওয়ার পর বাদী নিজেই বলেছে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান ও চুলাশের হুমায়ূন মামলায় আমাদের নাম দিয়েছে। তার কিছুদিন পর আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় আমি সহ এলাকার কয়েকজন প্রতিবাদী যুবককে জড়ানো হয়। তার একদিন পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজামেহার উত্তরপাড়ার একটি মারামারি ঘটনায় মামলা হলে সেখানেও দুই নাম্বার আসামি হিসাবে আমাকে জড়িয়ে দেয় অথচ সেদিন আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম।
রাজামেহার ইউনিয়নের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের হাতে একমাত্র জামাত-শিবির ও বিএনপির লোক ছাড়া আর কেউ নিরাপদ নয়। এই পরিস্থিতিতে রাজামেহার আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষকে জাহাঙ্গীর আলমের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচাতে,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
স্বরাষ্ট্র সচিব (জন নিরাপত্তা বিভাগ,
পুলিশের আইজিপি, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ,
জেলা প্রশাসক কুমিল্লা,
ও এসপি কুমিল্লা,বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করবো। আমি আশা করছি আমার সহকর্মী সাংবাদিক ভাইয়েরা সহ শুভাকাঙ্ক্ষী সকলে আমাদের পাশে থাকবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন মিথ্যে, বানোয়াট ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন।