পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন স্বামী ও স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের দক্ষিন চর বিশ্বাস গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে। আহতরা হলেন গকুল চন্দ্র দাস (৪০) ও তার স্ত্রী সূচিত্রা রানী দাস (৩০)। আহতদেরকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহরিয়ার বলেন, আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলায় ৭ ও ৮নং বেডে ভর্তি আছে।
রোগীদের শরীরে মারধরের চিহ্ন আছে। এ বিষয়ে গকুল দাস জানান, জমা জমির জেরে আমাদের একই বাড়ির নির্মল চন্দ্র দাস, মনা চন্দ্র দাস ও নির্মল চন্দ্রের স্ত্রী নুপুর রানী একত্রিত হয়ে আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে এলোপাথারীভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পরলে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। সূচিত্রা রানী দাস বলেন, সোমবার বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা চড়াও হয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করতে থাকে।
আমার স্বামী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে আহত করে। এ বিষয় নিয়ে নির্মল চন্দ্র দাসের কাছে প্রতিবেদক জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি সদস্য মো. নেছার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল মুন্সি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মিমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয় নিয়ে গকুল চন্দ্র দাস উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার দরখাস্তটি আমলে নিয়ে দু’পক্ষকে নোটিশ দিয়ে উপজেলা অফিস কক্ষে এনে পৃথকভাবে ঘটনা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।