পটুয়াখালীর গলাচিপায় শারদীয় দূর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে মন্দিরগুলোতে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কারিগরদের দম ফেলার সময়টুকু নেই। কয়েক দিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। উপজেলায় ২৮টি মন্দিরে চলছে বাঁশ-কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমা তৈরির কাজ।
প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। বুধবার বেলা ১১টায় পৌরসভার কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীর লোকজন দীর্ঘ বছর ধরে এই মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন তিনি। প্রশান্ত শাহা বলেন, মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু। আর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ।
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। প্রতিমা তৈরির কারিগর দেড় মাস পূর্ব থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত ৩টি মন্দিরের প্রতিমার সেট তৈরি করেছেন। প্রতি সেটে দুর্গার সঙ্গে থাকে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মী প্রতিমা। বর্তমানে একসেট প্রতিমা তৈরি করতে বাঁশ, কাঠ, কাদা মাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেশি। তাই আমাদের লাভ কম হচ্ছে। গলাচিপা উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত বলেন, উপজেলায় এ বছর ২৮টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আর প্রতিটি মন্দিরে আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কাজকর্ম শুরু করেছেন। দেবীর আগমন ও প্রস্থান হবে ঘোড়ায় চড়ে। উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি মনিন্দ্র পাল জানান, আশা করি শতশত ভক্তের উপস্থিতিতে গলাচিপা কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দিরে প্রতিমা বিসর্জন উৎসব হবে। আর নিরাপত্তার ব্যাপারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বছরের ন্যায় আমাদের সাথে থাকবেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি কমিটির সভাপতি বাবু দিলীপ বণিক বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস এর কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ বছর দুর্গাপূজা উৎসব পালিত হবে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা মন্ডবে নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য মোতায়ন থাকবেন। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে এ উৎসব পালন করতে পারে।