টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় অপহরণের পর গণধর্ষণ মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় দণ্ডিত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাগর চন্দ্র, সুজন মনি ঋষি, রাজন, সঞ্জিত এবং গোপি চন্দ্র শীল। রায় ঘোষণার সময় সঞ্জিত ও গোপী চন্দ্র শীল উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ভূঞাপুরে এক নারীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্বাক্ষর শেষে অধ্যাদেশ জারি হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন, আসামিদের পর্যাপ্ত আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়নি। রায়ে আসামীপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আকতার বলেন, রায়ে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে দেশে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে এবং এরই সাথে ধর্ষণসহ যে কোন ধরণের নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতি মানুষ সচেতন হবে এবং এ ধরনের অপরাধ থেকে মানুষ দূরে থাকবে।
মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। এই মামলাটি দীর্ঘ আট বছর চলমান ছিলো। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই দৃষ্টান্তমূলক রায় দেন। পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে এবং রায় কার্যকর হলে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে। মানুষের মধ্যে এ ধরণের অপরাধ প্রবণতা দূর হবে।