পটুয়াখালীর গলাচিপায় খাল-বিলে বর্ষার পানি নামতে শুরু করছে।
এরই মধ্যে গ্রামগঞ্জের খালে বিলে বিভিন্ন পন্থায় শিকারীরা মাছ শিকার করছেন। উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাড়িয়া গ্রামের পরেশ মিস্ত্রী (৫০) এলাকায় এমনই একজন মাছ শিকারী চাই ও ঝাকি জাল তৈরী করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও খালে ভরাটের কারণে পানি নিস্কাশনে বাঁধাগ্রস্ত হলে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর কিছুদিন পরেই খাল, বিল ও ডোবার পানি প্রায় হাঁটুতে পরিণত হবে। এখানকার মানুষজন অনেকেই চাই দিয়ে মাছ শিকার করে থাকেন। আবার অনেকে শখ করে ঝাকি জাল নিয়ে নেমে পরেন মাছ শিকারে। ডোবা, পুকুর, খাল, বিলের পানি কম থাকায় পানি সেচে মাছ ধরে আনন্দ পেয়ে থাকেন। ছোট বড় অনেকেই কাদা পানিতে মাছ ধরে উল্লাস প্রকাশ করেন।
দেখা গেছে, এখানকার কোনও কোনও জায়গায় এখনও প্রায় ৪/৫ হাত পানি রয়েছে। পানি আস্তে আস্তে কমে আসছে। পানিতে দেশী বিভিন্ন জাতের প্রচুর দেশী মাছ রয়েছে।
এসব মাছ শিকারের জন্য অনেকেই জাল, ভেসাল, বড়সি, টেঁটাসহ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। বাঁশের ফালিগুলো সাজিয়ে গুন রশি দিয়ে নিখুত হাতের কারসাজিতে বাঁধা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ২০টি চাই তৈরী করছেন তারা। এসময় দিনমজুররা বলেন, দৈনিক ৬শ’ টাকা রোজে তারা চাই ও জাল তৈরীর কাজ করছেন।
৩ সুতা ও চার সুতা দিয়ে ছোট বড় ফাসের বিভিন্ন ধরনের ঝাকি জাল, স্লুইজ জাল, মই জাল, খুচনি জাল তৈরি করছেন তারা।
গোলখালী ইউনিয়নের চর সুহরী গ্রামের জেলে জালাল প্যাদা জানান, আমরা শুকনা মৌসুমে চাই, ঝাকি জাল, মই, বেড় জাল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের জাল তৈরি করে দেশী কই, শিং, পুটি, খলিসা, টাকি, শোলসহ ছোট ছোট বিভিন্ন জাতের মাছ ধরি। দেশী মাছের চাহিদা থাকায় স্থানীয় হাট বাজার আড়তে এ সব মাছ বিক্রি করা হয়।