জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামে এক গৃহবধূকে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত গৃহবধূ বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।এঘনায় শাকিল নামের একজনকে আটক করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ ।
গতকাল শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নির্যাতিতার পরিবার জানায় । গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত শাকিল শরিফ আরিফ চৌকিদার ও আবদুল হাদী মুন্সি বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযুক্ত ধর্ষকরা একই ইউনিয়ানের বাসিন্দা চরমারগারেট গ্রামের মজিবার শরীফের ছেলে শাকিল শরিফ, আলালদ্দি চৌকিদারের ছেলে আরিফ চৌকিদার ও চররুস্তম গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিক মুন্সির ছেলে আবদুল হাদী মুন্সি।
নির্যাতিতার স্বামী ও স্বজনরা জানায়, গৃহবধূর স্বামী কাসেম মোল্লা বাজারে গেলে সন্ধ্যায় গৃহবধূ হাঁস মুরগীর ঘরের দরজা দিতে যায় সেই সুযোগে ঘরের দরজা দিয়ে লুকিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের চৌকির নিচে লুকিয়ে থাকে প্রতিবেশি শাকিল , আরিফ ও আবদুল হাদী, রাত আনুমানিক সারে ৯ টার দিকে গৃহবধূ বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে যায় । পরে শাকিল শরিফ, আরিফ চৌকিদার ও আবদুল হাদী মুন্সি গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে বাচ্চাদের কাছ থেকে অন্য রুমে টেনে হিচরে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।
অজ্ঞান অবস্হায় শুক্রবার রাতেই গালাচিপা হাসপাতালে নিয়ে গৃহবধূকে ভর্তি করে স্বজনরা, গালাচিপা হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। আজ (১৭অক্টোবর) ভোর আনুমানিক ৫ টার সময় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তিকরান গৃহবধূর স্বামী ও স্বজনরা ।
ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় রয়েছে এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ, এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে বলে নির্যাতিতার স্বামী জানিয়েছে। এলাকাবাসী এহেন ঘৃনিত জঘন্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।