র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকাত, সন্ত্রাসী চাদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী, প্রতারকচক্র, হত্যা মামলার আসামীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, বরিশাল সিপিএসসি কোম্পানী এর একটি বিশেষ অভিযানিক দল অদ্য ১৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখ পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে আনুমানিক রাত ০০.০৫ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানাধীন একটি মাছের আড়ৎ এর সামনে কতিপয় ব্যক্তি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠনের জন্য অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের অভিযানিক দলটি ১৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখ আনুমানিক রাত ০০.৫৫ ঘটিকায় কৌশলগতভাবে ঘটনাস্থলের সন্নিকটে পৌছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক ০২ (দুই) জন ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম (১) মোঃ সোহাগ জোমাদ্দার(৩০), পিতা- মোঃ এছহাক জোমাদ্দার সাং-সুধীরপুর, পোঃমহিপুর, থানা- মহিপুর, জেলা- পটুয়াখালী,
২। মোঃ ফারুক খন্দকার(৫০), পিতা-মৃত সফদার খন্দকার, সাং-সুধীরপুর, পোষ্ট-মহিপুর, থানা- মহিপুর, জেলা- পটুয়াখালী বলে জানায়। স্থানীয় ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করে তাদের হেফাজতে অস্ত্র ও গুলি রক্ষিত আছে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ধৃত আসামীদ্বয় কর্তৃক নিজ হাতে বাহির করিয়া দেওয়া মতে উক্ত আড়ৎ ঘরের চৌকির তোষোকের নিচে রাখা (১) ০২ (দুই) টি ওয়ান শুটারগান, (২) ০২ (দুই) রাউন্ড কার্তুজ, (৩) ০১ (এক) টি বিদেশী রিভলবার, (৪) ০৮ (আট) রাউন্ড গুলি এবং (৫) ০২ (দুই) টি চাপাতি উদ্ধার করে। র্যাব-৮, বরিশাল সিপিসি-১ এর ডিএডি মোঃ মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।