আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এই দিনে স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন আলোকিত করে এসেছিলেন শেখ রাসেল। কিন্তু সেই আলো ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মানবতার শত্রু-খুনিদের নির্মম বুলেটে নিভে যায়। নিভে যায় এই প্রদীপ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিল। চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্রকেও ছাড়েনি খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে।
শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত হয়েছেন।
মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বঙ্গবন্ধু ও তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যায় জড়িত দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা কেউ কেউ এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। দণ্ডপ্রাপ্ত এসব পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা সময়ের দাবি।