এবারের দূর্গাপূজা অন্যবারের চেয়ে আলাদা। শরতে নয় পূজা হচ্ছে হেমন্তে। মহালয়ার ছয়দিন পরে নয় ৩৫ দিন পরে হচ্ছে দূর্গোৎসব। এমনসব বাস্তবতার সাথে করোনা মহামারি এনেছে নানা বিধিনিষেধও। তারপরও চলছে বাঙালী হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের প্রস্তুতি। শুরু হরেছে নবরাত্রির পূজাও।
প্রতিপদ থেকে নবমী। নয়রাত্রি ধরে দেবী দূর্গার নয়টি শক্তির পূজা। এই পূজাকে নবরাত্রি বলা হয়। দেবীর নয় শক্তি নবদূর্গা নামে পরিচিত। এবছরও প্রতিপদের দিনে দেবীর ঘট স্থাপন করে নবরাত্রির পূজা আরম্ভ করেন মন্দিরের পুরোহিতরা।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পুরোহিত রাজু চক্রবর্তী জানান, নবরাত্রির প্রথম রাতে শৈলপুত্রি বা পর্বত কন্যা রূপে দেবীর পূজা শুরু হয়। নবমী তিথিতে পদ্মে অধিষ্ঠিত সিদ্ধিদাত্রী রূপে দেবী দূর্গার আরাধনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় নবরাত্রি পূজা।
তবে করোনা মহামারির কারণে অন্যবারের মত নয় এবারের দূর্গোৎসব। বিধিনিষেধ মেনে চলবে পূজার আনন্দ আয়োজন। পরিবারকে নিয়ে আয়োজন করা হবে। এবং সেটাও কম কিছু নয় বলছেন হিন্দুধর্মালম্বীরা।
বাইরে বেশি যাওয়া যাবে না। করোনাকালে তাই অনেকের উৎসব পরিকল্পনায় ঘরোয়া আয়োজনই প্রাধান্য পাচ্ছে।
মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস হবে। সপ্তমীতে মন্ডপে হবে দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। রং-তুলির আঁচড়ে ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে দেবীর মোহনীয় রূপ।
এবছর দেবী দোলায় চড়ে আসবে আর ফিরবেন হাতিতে চড়ে। এবারের আশ্বিন মল মাস হওয়ায় পূজা হচ্ছে কার্তিকে। তাই শারদীয় নয় এবারের দূর্গোৎউৎসব হৈমন্তিক। একই কারণে এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পরে শুরু হচ্ছে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আর শোভাযাত্রা ছাড়াই এবার হবে দেবীর বিসর্জন।