পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিসর্জনের দেবী দূর্গার বিদায়, ফিরে গেলেন কৈলাসে। কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দূর্গা। বিজয়া দশমীতে সারাদেশে পূজা অর্চনার পর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা। করোনা সতর্কতায় এবার বিসর্জন ও দশমীর আয়োজনে ছিল নানা বিধি নিষেধ।
‘বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে দেবী দূর্গা এক বছরের জন্য ফিরে গেলেন কৈলাসের শ^শুরালয়ে। শেষ হলো বাঙ্গালী হিন্দু সবচেয়ে বড় পার্বণ শারদীয় দূর্গা উৎসবের। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে গলাচিপায় দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ বছর গলাচিপায় ২৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজার আয়োজন করা হয়।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দেয়। পূজা মন্ডপে দেবীকে বিদায় দিতে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় করেন ভক্তরা। মা দূর্গার কাছে আগামী দিনের জন্য আশীর্বাদ চান ভক্তরা। অঞ্জলী, দর্পণ বিসর্জন, সিঁদুর দানের পর প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় নদীতে।
এ বিষয়ে গলাচিপা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত বলেন, উপজেলার সকল পূজা মন্ডপে সকাল থেকে ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান শেষে দেবী মহা মায়াকে বিদায় জানানো হয়। তবে সন্ধ্যার মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়। কালিবাড়ি কমিটির সভাপতি বাবু দিলীপ বণিক বলেন, গলাচিপায় ২৭টি শারদীয় দূর্গা পূজা মন্ডপের মধ্যে ১৭টি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে। বাকি ১০টি ঘট বিসর্জন করা হয়েছে।