পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শ্যামলীবাগ এলাকায় রাতের আধারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ঘর নির্মান করার সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে করে মিলন গাজী ও বরকত গাজী নামে দ্ইু জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। মামলা সূত্রে জানা যায় গলাচিপা থানার গলাচিপা পৌরসভার শ্যামলীবাগ ২নং ওয়ার্ডের জৈনপুরী খানকাহ মাদ্রাসার পূর্ব পাশে ব্রীজ সংলগ্ন গলাচিপা মৌজার জে এল নং ৪৯এর অন্তর্গত ৩৪নং খতিয়ানে ৬৫ দাগে ২১ শতাংশ ও ৬৬নং দাগের ৩ শতাংশ মোট ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশী ১নং বিবাদী মো. তাওহীদ হোসেন, পিতা মৃত হাদিস মিয়া গং দের সাথে জমি জমা নিয়ে দির্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে,
তারই ধারাবাহিকতায় বিবাদীরা বহুদিন যাবত ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষতি করার জন্য উঠে পরে লাগে। এ দিকে এই জমি জমার বিষয় আদালতে উঠলে বিজ্ঞ আদালত দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১০১ চলমান আছে। তাই বিজ্ঞ পটুয়াখালী আদালত উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। বাদী বরকত গাজী বলেন, আমার রেকডি জমিতে ২৬শে অক্টোবর রাত ৩টার দিকে বিবাদী তাওহীদ হোসেন এর নেতৃত্বে আব্দুল আল নোমান, মো. আলী আজগর সৌরভ, মো. মনু সওদাগর, মো. কামাল, মো. কালাম, মোঃআনোয়ার হোসেন, তাইয়বা, ও উত্তম চন্দ্র ঘোষ সহ আরো অনেকে একত্রিত হয়ে রাতের আধারে দোকান ঘর নির্মান করছে।
এই সংবাদ পাওয়ার পরে আমি ও আমার চাচাতো ভাই মিলন গাজী ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা প্রধান করলে বিবাদীগনরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দেশিও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। বিবাদী তাওহীদ হোসেন আমাকে লক্ষ্য করে রড দিয়ে হামলা করলে তা মিলন গাজীর মুখে লাগে এবং সামনের দুইটি দাঁত ঘটনাস্থলেই ভেঙ্গে পরে যায়। পরর্বতীতে আবার হামলা করলে বরকত গাজী ফিরালে সেই রডের বারি তার ডান কানে লাগে এবং কেটে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এলে বিবাদীগন আমাদেরকে খুন জখমের হুমকি ধমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
এলাকার মানুষের সহযোগীতায় আমাদেরকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করান এবং এই জমি জমা নিয়ে এর আগেও থানায় অনেকবার বসাবসি হলে তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করার চেষ্টা করেন। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও শালিস বিচার ব্যবস্থা কিছুই মানে না। তারা রাতের আধারে অবৈধ দোকান ঘর তুলে তাই আমি আইনের কাছে সঠিক বিচার কামনা করছি।