অপরাধ না করেই এখন বন্দীত্বের সাজা ভোগ করছে পুরো বিশ্বের মানুষ। জেলে বন্দী না থাকলেও করোনার কারণে ঘরে বন্দী সবাই। অদৃশ্য করোনা ভাইরাস গ্রাস করে ফেলেছে পুরো পৃথিবীকে। বড়দের সঙ্গে সঙ্গে এর ভয়াবহতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও।
কারণ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্বের সব দেশেই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অনলাইনে কিছু ক্লাস নেয়া হলেও বন্দীদশা কাটছে না শিশুদের। বাড়িতে বসে টিভি দেখে বা মোবাইল-কম্পিউটার, ল্যাপটপে গেম খেলেও অবসর কিংবা অবসাদ কাটছে না তাদের। পক্ষান্তরে বিভিন্ন মানসিক জটিলতায় ভোগতে শুরু করেছে শিশুরা।
বাবা-মা বা অভিকরাও বুঝে উঠতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে তাদের কি করা উচিৎ তাদের। এমন দমবন্ধ করা অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ফেইসবুক পেইজে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ‘Parenting Toddler-Stress or Fun’ গ্রুপটি। ব্যক্তিগত এই গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা এরই মধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধানও মিলছে। পাচ্ছে বন্দীদশা কাটিয়ে উঠার উৎসাহব্যঞ্জক সব পন্থাও।
কারণ গ্রুপটি বাচ্চাদের যে কোন সৃজনশীল কাজকে উৎসাহ দিয়ে আসছে। এমনকি শিশুদের সৃজনশীলতা নিয়ে মাসিক একটি প্রতিযোগিতাও করছে গ্রুপটি। এতে মহামারির মধ্যে শিশুদের মানসিক বিকাশের একটি প্লাটফর্ম তৈরী হয়েছে বলে মনে করছেন পেইজটির এ্যাডমিন সামিনা সারওয়াত নাবিলা। নাবিলা তার ৫ বছরের মেয়ে সাফিরাহ ওয়ারিশাকে দিয়েই অনেকটা শখের বশে এই পেইজটি খুলেন। সেখানে শেয়ার করার চেষ্টা করেন তার শিশু কন্যা মহামারির মধ্যে ঘরে বসেই হাতের নাগালে পাওয়া সাধারণ উপকরণ- যেমন, পেইন্ট, সেভিং ক্রিম, বালি, ফ্রোজেন পেইন্ট, কাঠের টুকরা, শুকনা পাতা এরকম নানান কিছু দিয়ে কিভাবে সৃজনশীল কাজ করছে।