ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের তিন বছর পার হলেও-এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি কাজ। চীনা ব্যাংকের সঙ্গে ঋণের সুরাহা না হওয়ায়-কাজ আটকে আছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। তারপরও-আশা করছেন-সব জটিলতা শেষে আগামী ফেব্রুয়ারী নাগাদ শুরু হবে এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। সেক্ষেত্রে-পেছাবে প্রকল্পের সময়সীমা। বাড়বে ব্যায়ও।
রাজধানীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালে এয়ারপোর্ট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। লক্ষ্য ছিল ২০২২ সালে শেষ হবে নির্মাণ কাজ। কিন্তু মেয়াদের অর্ধেকেরও বেশি সময় পার হলেও-নির্মাণ কাজই শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
আর তাই এখনও এমন গ্রাফিক্স অ্যানিমেশনেই সীমাবদ্ধ এই এক্সপ্রেসওয়ে। মোট ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্পে ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার কথা চীনের এক্সিম ব্যাংকের। মূল জটিলতা সেখানেই। কিন্তু চীন সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত ঋণচুক্তি করেনি চীনা ব্যাংক।
ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক শাহাবুদ্দিন খান বলছেন, আমাদের তরফ থেকে কোন সমস্যা নাই। ঠিকাদারের সাথেও চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ঋণের নথিও চীনের ব্যাংকের কাছে দেয়া আছে। আশা করা হচ্ছে আগামি বছরের শুরুর দিকেই লোন পাশ হবে।
আর গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলছেন, অর্থায়নে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে সেটা দুদেশের সরকার বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
তবে-আশাব্যঞ্চক হারে এগিয়েছে জমি অধিগ্রহণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১৬৫ একর জমি দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে রাজউক, ঢাকা উত্তর সিটিসহ সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ১৩টি সংস্থা। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, ঋণচুক্তি দ্রুত সই হলেও আগামী ফ্রেব্রুয়ারীর আগে নির্মাণকাজ শুরুর সম্ভাবনা নেই।
সাভার ইপিজেড থেকে আশুলিয়া-বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়িত হলে এসব এলাকায় যানজট পুরোপুরি নিরসন হবে বলেই ধারনা দিচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে-২০২২ সালের জায়গায় প্রকল্প শেষ হতে পারে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ।