পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন ৪জন। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন মো. আবুল কালাম (৭০), মোসা. রওশনা বেগম (৫৫), রিনা বেগম (৩৫) ও মাজেদা বেগম (৩৪)।
ঘটনা সূত্রে ও আহত রিনা বেগম জানান, ২ নভেম্বর রোজ সোমবার বিকাল অনুমান ৫টার দিকে উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের মুন্সি বাড়ি কালভার্টের উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পরলে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আহতরা আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলায় ৭, ৮, ৯ ও ১০নং বেডে ভর্তি আছে। রিনা বেগমের কানের লুতরি ছিড়ে যায়। বাকি আহতদের শরীরে মারধরের চিহ্ন আছে। আহত বৃদ্ধ আবুল কালাম বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ছেলে রিয়াজুল হক হত্যা মামলার আসামীরা আমাদেরকে মারধর করেছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অনেক ভয় দেখাচ্ছে।
মামলা তুলে না নেওয়ায় আমাদেরকে মারধর করে। এ বিষয়ে আহত রওশনা বেগম জানান, আমার ছেলেকে মেরে ওরা ক্ষেন্ত হয় নি, এখন আমাদেরকেও মারতে চায়। আমরা এখন আহত অবস্থায় হাসপাতালে পরে আছি। এ বিষয়ে মৃত. রিয়াজুলের বড় ভাই মো. নিজাম হাওলাদার বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামীরা এ মামলা তুলে নেওয়ার জন্যা আমার বাবা, মা, স্ত্রীকে মারধর করেছে।
এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। চৌকিদার পাঠিয়ে দুপক্ষকে ডাকার ব্যবস্থা করছি। পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কুদ্দুস মেলকার বলেন, আসলেই চারজনকে মারধর করার ঘটনা দুঃখজনক। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।