স্বাধীনতাবিরোধীদের নীল নকশার অংশ হিসেবে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয় : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের নীল নকশার অংশ হিসেবে জাতীয় শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়।
আজ ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর, ২০০৪ এর ২১ আগস্ট এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা। আহসান উল্লাহ মাস্টারের মত নিবেদিত প্রাণ শ্রমিক নেতা যারা ছিলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন সময় তাদের হত্যা করে। প্রকৃতপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করার জন্য এসব হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।
আলোচনায় মন্ত্রী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, অসম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহসান উল্লাহ মাস্টারের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কর্ণেল (অবঃ) ফারুক খান এমপি।
আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক ও আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কর্ণেল (অবঃ) ফারুক খান এমপি বলেন, আমাদের জাতীয় রাজনীতির মেধাবীমুখ দেশের অন্যতম নন্দিত জননেতা পেশা মহান শিক্ষতা নেশায় শ্রমজীবী মানুষের আপনজন তুখর শ্রমিক নেতা একজন প্রাজ্ঞ সংসদ সদস্য জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নীতি ও আদর্শ নিয়ে বেশি করে আলোচনা করলে সৎ রাজনৈতিক নেতা সৃষ্টি বিকাশে বিশেষ সহায়ক হবে। তাদের মত জনদরদী নেতাদের নিয়ে যতবেশি আলোচনা ও গবেষণা হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ততবেশি আদর্শিক নেতা- কর্মী সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান এমপি বলেন, জননন্দিত আহসান উল্লাহ মাস্টারের মত একজন মেধাবী রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু নেই। তার মত মহাপুরুষরা যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন মানুষের মাঝে তাদের কর্মের গুণে। সাংবাদকর্মীদের কাছেও তিনি ছিলেন এক পরিচিত মুখ। ১৯৯৭ সালে দৈনিক বাংলা – টাইমস ট্রাস্টের সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, শিক্ষক, শ্রমিক নেতা হিসেবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়-এর উচ্চারণে তিনি ছিলেন নির্ভীক এক শ্রমিক জননেতা। বিটিএমসির ৯টি সুতা ও বস্ত্রকল সমবায় সমিতির মাধ্যমে শ্রমিকদের মালিকানা দিয়ে পরিচালনা করার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। আজো যার জন্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিদেশে একজন শ্রমিক বান্ধব নেত্রী পরিচিতি। পরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি’ দোয়া পরিচালনা করেন ।