করোনা আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা সরকার গোপন করেছে বলে অভিযোগ করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা-টিআইবি
ব্যাপক দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে প্রায় ১০ শতাংশ করোনা রিপোর্ট ভুয়া দেয়ার অভিযোগও করেছে সংস্থাটি। এ সুযোগে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ হাসপাতাল। মঙ্গলবার সকালে এক অনলাইন অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি।
টিআইবি’র গবেষণা বলছে, করোনা সঙ্কটে দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাতের করুন চিত্র উন্মোচন করেছে। সরকার করোনা মোকাবিলায় সবক্ষেত্রেই অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কেবল তথ্য গোপনেই সফল সরকার।’
এর আগে করোনা ভাইরাস সঙ্কট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, করোনা পরীক্ষার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ রিপোর্ট ছিল ভুল। এমনকি সরকার সারা দেশে করোনা পরীক্ষার সুবিধা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
করোনাকে কেন্দ্র করে সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ, হাসপাতাল সংস্কারসহ নানা কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির চিত্রও উঠে এসেছে টিআইবি’র গবেষণায়। এমনকি করোনায় সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা বাস্তবায়নেও অদক্ষতার পরিচয় মিলেছে। টিআইবি বলছে, দুস্থ মানুষের জন্য দেয়া বরাদ্দের অর্থ পেয়েছে ৩০০০ সরকারি চাকুরে ও ৭০০০ পেনশন ভুগী।
টিআইবির অভিযোগ, দুর্নীতি ও অনিয়মের দু’একটি ঘটনা প্রকাশ পেলে লোক দেখানো কারো কারো শাস্তি হলেও মুল অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।