পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের বড় বিঘাই গ্রামে গত ১৮ই নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ১২ঃ০০ ঘটিকার সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে, এ ঘটনায় গত ১৯শে নভেম্বর ভুক্তভোগী মোঃ ফারুক মাহমুদ নিজে বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার নেয়ার আদেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা জায় যে, ফারুক মাহমুদের বাবা একজন প্রবাসী, নিজের বাড়ীতে গভির নলকূপ স্থাপনের টাকা পাঠালে ফারুক মাহমুদ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ইউনিয়নের খাটাশিয়া বাজারে টিউবওয়েল মিস্রী রাসেলের সহিত স্বাক্ষাত করে তাকে টাকা দিতে যায় কিন্তু রাসেলকে না পেয়ে টাকা নিয়ে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে বারেক মল্লিকের বাড়ীর সামনে পৌছালে আগে থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওত পেতে থাকে ছিনতাইকারীরা।
এ সময় ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে প্রানের ভয় দেখিয়ে ও ব্যপক মারধর করে এবং আতংক সৃষ্টি করে লেবারকে দেয়ার জন্য আনা পঞ্চান্ন হাজার টাকা, এক ছরা গলার স্বর্ণের চেইন আনুমানিক বাজার মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা, ১ নং স্বাক্ষী ফিরোজের কাছ থেকে নগদ তিন হাজার টাকা, এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করার ক্ষতি সাত হাজার টাকা সহ মোট ১ লক্ষ্য ৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের আব্দুল হক হাওলাদারের ছেলে রাসেল,জব্বার হাওলাদারের ছেলে হাবিব,আঃ করিম হাওলাদারের ছেলে মনিরুল ও অজ্ঞাতনামা একজন সহ মোট ৪ জনকে আসামী করে কোর্টে মামলা করা হয়। মামলাটি পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার নেয়ার আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এ অভিনব ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এলাকাবাসী এহেন ও ঘৃণিত জঘন্য কাজের সাথে জরিত সকলকে আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবী জানান,এ দিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামীরা হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে মামলার বাদী ফারুক মাহমুদ।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ফারুকের পরিবার, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান ফারুক মাহমুদ।