অদ্য ২১ নভেম্বর বিকাল আনুমানিক ০৪.০০ ঘটিকার সময় বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলাধীন আমতলী পৌরসভার মাজার রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভন্ড ধর্ষক কবিরাজকে গ্রেফতার করে র্যাব-৮, পটুয়াখালী। মোঃ মনসুর শিকদার (২৮), পিতা- আঃ রব শিকদার, সাং- কাঠালিয়া (কুলুরচর), থানা- আমতলী, জেলা- বরগুনাকে আটক করা হয় ।
ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তার মায়ের অসুস্থতার কারণে ধৃত আসামী কথিত প্রতারক মোঃ মনসুর শিকদার ভিকটিমের মাকে কবিরাজী চিকিৎসা করতে গিয়ে তাদের পরিবারের সাথে পরিচয় ঘটে। এর সূত্র ধরে আসামী মনসুর জনৈক ভিক্টিমের সাথে কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২৮শে মার্চ ভিকটিমের মাকে দেখতে যাওয়ার পথে সাহেববাড়ী বাস স্ট্যান্ডে নামিলে আসামীর সাথে ভিকটিমের দেখা ও কথা হয়। আসামী কৌশলে ভুল বুঝাইয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভন্ড কবিরাজের আত্মীয়ের বাড়ীতে নিয়ে দুই দিন রাখিয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েকদফায় ধর্ষন করে।
পরবর্তীতে সেখান থেকে নিয়ে সোবহানের টিনসেড বাসা ৩নং ওয়ার্ড, আমতলী পৌরসভার বাসায় বেশ কিছুদিন আটক রাখিয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারিরীক সম্পর্ক করে। এরপর তার বড় বোন তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। গত ১৬ই নভেম্বর একই পথে মাকে দেখতে যাওয়ায়র পথে সাহববাড়ী বাস স্ট্যান্ড নেমে অন্য গাড়ীতে উঠার অপেক্ষমান থাকায় ধৃত আসামী মনসুর তাকে একই কায়দায় ভুল বুঝাইয়া পূণরায় সোবহানের বাসায় নিয়ে দুইদিন আটক রাখিয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী কৌশলে পালিয়ে এসে র্যাব পটুয়াখালীর সাহায্য প্রার্থনা করে।
আসামী ভন্ড কবিরাজ খুবই দুর্দান্ত ও সস্ত্রাসী প্রকৃতির লোক তার স্ত্রী ও সন্তান আছে, এইভাবে সে অনেক মেয়েদের সর্বনাশ করে আসছে বলে আসামী মনসুর স্বীকার করে । ভিকটিমের আইনগত সহায়তা চেয়ে র্যাব-৮, পটুয়াখালী ক্যাম্পের নিকট আবেদন করলে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পর একটি বিশেষ অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোঃ মনসুর শিকদারকে আমতলী মাজার রোড থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনসুর তালুকদার সাথে নিজের সংস্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে । এ বিষয় ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আমতলী থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।