ঝালকাঠির মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে দুই বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকারি ডাক্তারদের পরামর্শে তাদের পছন্দমতো স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে গর্ভবতী মায়েদের সিজারের জন্য আন-অফিসিয়ালি রেফার্ড করেন।
অনেকে ঝালকাঠি ও বরিশাল বিভাগীয় সদরের বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে অসহায় রোগীদের বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে। সিজার ও পরবর্তী সময়ের জন্য সেবার অর্থের উৎস নিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাদের। বরিশালে নেওয়ার পথেই অনেক প্রসূতির মৃত্যুঝুঁকিও থাকে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী ও উন্নত পরিবেশ থাকার পরও প্রায় দুই বছর এনেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে গর্ভবতী মায়েদের প্রয়োজনে এখানে সিজারিয়ান অপারেশন হচ্ছে না। এ ধরনের রোগীদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক অথবা বিভাগীয় শহর বরিশালে নিয়ে যেতে হয়।
এতে একদিকে যেমন মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন। অন্যদিকে মা ও গর্ভস্থশিশুর সুস্থ থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তা ছাড়া দরিদ্রদের পক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করে অন্যত্র সেবা নেওয়া দুঃসাধ্য।
এখানকার এনেসথেসিয়া চিকিৎসক ডা. মো. আমির হোসাইন প্রায় দুই বছর আগে উচ্চতর প্রশিক্ষণে যাওয়ার পর থেকেই এ পদটি শূন্য রয়েছে। পরে ডা. আমির হোসেন বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।
তার পরিবর্তে কোনো ডাক্তারকে পদায়ন করা হয়নি দুই বছরেও।