মাস্ক পরার হার বেড়েছে রাজধানীতে। অফিস আদালতে অনেকেই মাস্ক পরছেন।
তবে রাস্তাঘাট ও দোকানপাটে অনেকের রয়েছে মাস্ক পরায় অনীহা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে সংশয়ের মধ্যে, নো মাস্ক নো সার্ভিসকে ব্যাপকহারে কার্যকর করা না গেলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে।
রাজধানীর নগর ভবন। কদিন আগেও এখানে মাস্ক পরা মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা যেত। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে পাল্টে গেছে চিত্র। বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক। শুরুর দিকে না হলেও সরকারী অনেক ব্যাংকেই বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। এছাড়াও সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে।
আদালত পাড়ায় আইনজীবীদের মধ্যে মাস্ক পরায় সতর্কতা দেখা গেলেও সেবা নিতে আসা অনেকেরই রয়েছে অনীহা। দোকানপাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝেও মাস্ক না পরার অগুনতি অজুহাত। অবশ্য কেউ কেউ আবার টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখে মাস্ক পরেন।গণপরিবহণগুলোতে আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হলেও এখন আর তার বালাই নেই। তবে মাস্ক পরছেন বেশিরভাগই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কই এখন ভ্যাকসিন। বিএসএমএমইউ-এর মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ইউজিসি অধ্যাপক ডা: এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাস্ক ছাড়া এখন আর কোন বিকল্প নেই। সরকার সবাইকে মাস্ক পরার জন্য বিভিন্ন আইন প্রয়োগ করছে তবে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এ কার্যক্রম সম্ভব নয়।
শীতে জেকে বসার আগে কঠোরভাবে সর্বক্ষেত্রেই মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। নভেম্বরের শুরুতেই প্রশাসনের তরফ থেকে নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি ব্যাপকহারে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে যার বাস্তবায়নে ঢিলেমি প্রকাশ্য ও স্পষ্টই।