করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৪ ব্রিটিশ বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় তাদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছেন তাদের স্বজনরা।
সরকারি সূত্রে সঠিক কোন পরিসংখ্যান প্রকাশিত না হলেও স্যোশাল মিডিয়ার পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনে এ পর্যন্ত ২৭ জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন।
সর্বশেষ যে ৪ জন মারা গেছেন তারা হচ্ছেন: গ্রেটার ম্যানচেস্টারস্থ হাইডের বাসিন্দা হাইড জামে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী মনসুর খান ৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আসার কান্দি ইউনিয়নের তিলক গ্রামে। হাজী মনসুর খান পূর্বেই হার্টে সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হলে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
এদিকে লন্ডনের ইলফোর্ডের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন ব্যবসায়ী দিলাল আহমদ। ৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার দেশের বাড়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূর্ববাঘা ইউনিয়নের তুড়ুগাও গ্রামে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে রেখেগেছেন। মরহুম দিলাল আহমদ যুক্তরাজ্যে ও বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রেখে গেছেন। তিনি গোলাপগঞ্জ বাঘা ইউনিয়ন ডেভোলাপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
শুক্রবার সকালে লন্ডনের ইজলিংটনের বাসিন্দা আলহাজ্ব এরশাদ মিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হোমারটন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তার দেশের বাড়ি মৌলভীবাজারের পাগুলিয়ায় বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
শনিবার সকালে ইন্তেকাল করেছেন ইসলামিক স্কলার আবু সাঈদ আনসারীর শাশুড়ি। তিনি প্রবীণ মুরব্বি সানোয়ার আলীর স্ত্রী রূপজান বিবি। তিনি মিডলসেক্স হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগলেও সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। কিছুদিন তাকে হাসপাতালেও রাখা হয়। তার দেশের বাড়ি সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারের বনগাঁও গ্রামে। মাওলানা আবু সাঈদ আনসারী ফেসবুক বার্তায় তার শাশুড়ির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।