সম্প্রতি ভাস্কর্য ইস্যুতে বিচারক, পুলিশ ও জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানের কথা বলে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, এমনকি বিচারকরাও রাজপথে নেমে এসেছেন। রাজপথে সরকার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এমন ভূমিকা দেখে জনগণ ভীত, সন্ত্রস্ত, আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। বিচারকদের অন্য কোনো চেতনা থাকতে পারে না, তাদের একটি মাত্র চেতনাই থাকা দরকার, সেটি হল ন্যায়বিচার। নাগরিক সমাজে বিবদমান নানা পক্ষের মানুষ বিবাদ মীমাংসার জন্য আদালত ও প্রশাসনেরই শরণাপন্ন হয়। তারাই যদি কোনো এক পক্ষ নিয়ে রাস্তায় নামে তাহলে অন্য পক্ষের কথা কে শুনবে? তাহলে ন্যায়বিচার বলে তো কিছু থাকবে না।
এ সময়ে বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এত দুর্নীতি ও খুন-গুম-হত্যা-অপকর্ম করেছে যে তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে। তাদের আতঙ্কে প্রহর কাটছে।’ শেখ হাসিনা গায়ের জোরে আজীবন ক্ষমতায় থাকার দুরভিসন্ধি পূর্ণ করতে চাচ্ছেন। এখন তার দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাদের নেত্রীর অভিলাষের কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ গত শনিবার এক বৈঠকে বলেছেন– ‘শেখ হাসিনা যত দিন শারীরিকভাবে সক্ষম থাকবেন, তত দিন তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন।’ এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন– ‘আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন শেখ হাসিনা।’ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন– ‘শেখ হাসিনা আমৃত্যু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’
হানিফ সাহেবরা ভোট রঙ্গ করে শেখ হাসিনাকে কেন আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চান, তা খুব ভালো করে জানে দেশের মানুষ। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থেকে তাদের এ ধরনের বক্তব্য অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। দেশে যে একদলীয় বাকশাল কায়েম যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, তাদের বক্তব্যে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে।