মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সামরিক সচিবেরা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।
বিজয় দিবস নির্বিঘ্নে পালন করার জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে কয়েকশ সামরিক ও বেসামরিক নিরাপত্তাকর্মী।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবসের ৪৯তম বার্ষিকী। বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের স্মৃতিবিজরিত এক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে বীরের জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে বাঙালির। জাতি অর্জন করে এক স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড।
২৪ বছরের শোষণ-নির্যাতন ও বঞ্চনার পর জাতির ভাগ্যাকাশে এক নতুন সূর্যোদয় ঘটে। প্রভাব সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। নতুন বার্তা ছয়ে সমস্বরে একটি ধ্বনি গোটা মানচিত্রে প্রতিধ্বনিত হয়- ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল’।
আজ সারা দিনই ৩০ লাখ বীর শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে জাতি।
আজ সরকারি ছুটির দিন। দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা হয়েছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।