স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন,শহীদ হয়েছেন যাঁরা তাঁদের শতকরা আশি ভাগই ছিলেন কৃষক আর শ্রমজীবী পরিবারের সন্তান।
স্বাধীনতার পর, যুদ্ধবিদ্ধস্ত স্বাধীন দেশে এঁরাই, এই কৃষক, শ্রমিকেরাই অর্থনৈতিক মুক্তির সবচেয়ে বড় লড়াইটা করেছিলেন, বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, এখনও বাঁচিয়ে রাখছেন ১৬ কোটি মুখ।এই মানুষেরা কোন দিন ব্যাংক ডাকাতি করেননি, শেয়ার বাজার লুটেননি, প্রশ্নপত্র ফাঁস করেননি। এরা টেণ্ডারবাজি জানেন না, জমি দখল,নদী দখল,হল দখল কাকে বলে বুঝেনও না।
এঁরা বিদেশে কোটি কোটি ডলার পাঁচার করেননি, বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেননি, আগুন দিয়ে মানুষ মারেননি, গাড়ি পোড়াননি।অপসংস্কৃতির জন্ম দেননি, ইয়াবার বাণিজ্যে নামেননি। কোনদিন কারও পায়ের রগ কাটেননি, ভোট ডাকাতিতেও মাতেননি।এঁদের বোন, মেয়েরাই আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন গার্মেন্ট ইণ্ডাস্ট্রি। এঁদেরই ভাই, ছেলেরা বিদেশ-বিভূঁইয়ে, শুষ্ক মরুতে জীবন বিলিয়ে টইটম্বুর করছেন রেমিটেন্সের ভাঁড়ার।
আর আমরা সৈয়দ,চৌধুরী,খান, খোন্দকার,তালুকদার তকমাধারী এলিটরা,আমলারা,রাজনীতিকরা, দুর্বিত্ব বণিকরা বিরামহীন লুটে খাচ্ছি সব,স্বাধীনতার সব স্বাদ,সব কিছু।
সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু’র ফেসবুক থেকে নেয়া।