পটুয়াখালীর গলাচিপায় সুমি (২২) নামের এক গৃহবধূর চোখে ও সারা শরীরে মরিচের গুড়া দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই গৃহবধূর চাচা আলতাফ হাওলাদারকেও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন-সামছুল হক হাওলাদার (৬০) ও তার ছেলে কালাম (৩০)। আজ সোমবার সকাল ৯টায় উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গৃহবধূ সুমি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশ বাড়িয়া গ্রামের জলিল হাওলাদারের মেয়ে।
হামলাকারী সামছুল হক হাওলাদার ও তার ছেলে কালাম একই এলাকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ সুমিকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী চক্ষু হাসপাতালে পাঠায় ও আলতাফ হাওলাদারকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
আহত গৃহবধূ সুমি প্রতিবেদককে জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে সামছুল হক হাওলাদারের জমিতে একই গ্রামের জলিল হাওলাদারের মেয়ে সুমির ছাগল যায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামছুল হক হাওলাদার ও তার ছেলে কালাম অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। পরে সুমির পুরো শরীর ও চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে গুরতর আহত করে। সুমি আরও জানান, এ ঘটনার সময় তার চাচা আলতাফ হাওলাদার বাধা দিতে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
জানা গেছে, সুমি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে বসবাস করে আসছেন। গৃহবধূ সুমি একই উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের কোটখালী গ্রামের সাইদুল মুন্সির স্ত্রী।
হামলার বিষয়ে কথা বলতে অভিযোগ উঠা কালামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সুমির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ, অতি দ্রুত আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’ এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও অভিযোগ পাইনি, পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।’