মহামারীর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আরো অন্তত ১ বছর সময় ও সুযোগ সুবিধা চান ব্যবসায়িরা।
তাদের দাবি, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং নীতিগত বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত না রাখলে আগামীতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকছেই।
এছাড়া করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে নতুন প্রণোদনার কথাও বলছেন উদ্যোক্তারা। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু বরাদ্দ দিলেই হবে না এসএমই ও কৃষির মতো খাতে তা বাস্তবায়নে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
করোনা বিপর্যয়ে গেল ৮ মাসে ক্ষুদ্র, মাঝারি কিংবা বড় সব শ্রেণির ব্যবসায়িরাই বিপর্যস্ত হয়েছেন। হিসাব বলছে, দেশের অন্তত ৮৮ ভাগ ব্যবসায়িই এ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত। করোনার প্রথম ধাক্কার ক্ষত না সারতেই দ্বিতীয় ধাক্কায় সে ক্ষতির পাল্লা আরো ভারী হচ্ছে।
সম্প্রতি তৈরি পোশাক মালকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পোশাকের খুচরা বিক্রি কমে যাওয়াসহ নজিরবিহীন দরপতন হয়েছে এ খাতে।
যা মোকাবিলায় নতুন করে প্রণোদনা এবং পুরনো প্যাকেজের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানায় সংগঠনটি। আগামী দিনে ব্যবসা বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই আবারো প্রণোদনা প্রয়োজন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
তবে করোনার প্রথম ধাক্কায় লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হলেও তার প্রকৃত সুফল পায় নি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
সে সময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ৮ হাজার কোটি। সবচেয়ে কম বিতরণ করা হয় এসএমই ও কৃষি খাতে। অথচ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বাইরে এ দুটি খাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান।
২০১৯ সালের শিল্প খাতের জরিপ বলছে অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের অবদান জিডিপির ৪.৮৫ শতাংশ।
আর কর্মসংস্থানের সাড়ে ৩১ শতাংশ এ খাতে। তাই এ শিল্পে বিশেষ মনোযোগের পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।