পটুয়াখালীর বিলাসবহুল লঞ্চে কোয়ারেন্টিন সেন্টার
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে পটুয়াখালীকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌরুটের একটি বিলাস বহুল যাত্রীবাহী লঞ্চকে ভাসমান প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ইউনিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম, এডিসি সার্বিক হেমায়েত উদ্দিন। এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম জানান, ভাসমান এ ইউনিটে ৪০টি ডাবল এবং ৩৮টি সিঙ্গেল কেবিন রয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের দেখভাল করার জন্য ডাক্তার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। ভাসমান এই কোয়ারেন্টিন ইউনিটে কর্মরত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের মাঝে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এ ভাসমান কোয়ারেন্টিন ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জেলা প্রশাসন জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌপথে বিভিন্ন উপায়ে যারা পটুয়াখালী জেলায় প্রবেশ করছে তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের চলাচলরত যাত্রীবাহী ডাবল ডেকারের বিলাসবহুল এআর খান লঞ্চকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করা হল। তিনি আরও জানান, শুধু ওইসব যাত্রীরাই নয়, তাদের পরিবারকে নিরাপদ রাখতে এবং পটুয়াখালী জেলার মানুষকে নিরাপদ রাখতে এই লঞ্চে তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক অবস্থান করতে হবে। এ সময় জেলা প্রশাসন এবং নৌবন্দর, উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পটুয়াখালী জেলায় ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ থেকে পটুয়াখালীতে এসেছিলেন। নিহত দুলাল এক গার্মেন্টস শ্রমিক ছিল। মৃত ওই ব্যক্তির বোনও করোনায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হল।