পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই অফিসের হাট সংলগ্ন ১৮২ নং ছোট বিঘাই সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঢাকা থেকে আসা ১নং,৮ নং,৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসারেফ, হিন্দু সম্প্রদায়ের চম্পা মেস্রী,ও তার মা সহ ১৩ থেকে ১৫ জনকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর নির্দেশে স্কুলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আটকে রাখা হয় স্কুল কক্ষে।যানাযায়,এরা একই ইউনিয়নের ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা,মোঃআজিজ হাওলাদের ছেলে সাইদুল, গ্রাম তুসখালী ৮ নং ওয়ার্ড,ছোবাহান প্যাদার ছেলে সোহেল ৮ নং এর বাসিন্দ,চম্পা মেস্রী, বাসন্তী মেস্রী,মেহের আলীর ছেলে তোফাজ্জেল,রানু বেগম, মোঃ মোসারেফ।
এবিষয় ইউপি মেম্বার বাচ্চু প্যাদা, মহিলা মেম্বার সহ এলাকার একাধিক জনসাধারণ বলেন এদেরকে ১১এপ্রিল দুপুর ২ টার পর চেয়ারম্যান এর নির্দেশে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় এদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়, তন্মধ্যে এসব ঢাকা থেকে আশা নারী,পুরুষকে স্কুলের এক একটি কক্ষে রাখা হয়।
এছাড়াও মেম্বার বাচ্চু প্যাদা আরো জানান, ১১ এপ্রিল রাতে মোঃ নাজমুলকে ছেড়ে দেয়া হয়, তবে এটা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ছেড়েছে কিনা এটা আমার জানা নাই।তিনি আরো বলেন নাজমুল ও ৫তারিখ ঢাকা থেকে এসেছে মোসারেফ,চম্পা মেস্রী এরাও ৫তারিখ এসেছে তবে নাজমুল জদি ছাড়া পায় এরা কি অপরাধ করেছে। এখনতো দেখতেছি অনেকের কথার সাথে মিলে যাচ্ছে টাকায় সব হয়।
উল্লেখ্য সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোয়ারেন্টেইন থাকা ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে অশ্রুভরা চোখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সকল নারী পুরুষ এসময় করেন টেনে থাকা একাধিক ব্যক্তি বলেন যে গত ৪ তারিখ ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে ৫ তারিখ নিজ বাড়ীতে এসেছি। কয়ারেন্টেইনে থাকা মোসারেফ, ও চম্পা মেস্রী জানায়, আমরা গতকাল রাএে স্কুলের ভিতরে তালাবদ্ধ অবস্থায়ী ছিলাম ১৩ থেকে ১৫ জনকে ভিতরে দেখতে পাই কিন্তুু মিথ্যা বলবোনা চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের ৩ বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা এবং স্কুলের ছাদের উপরে ট্যাংকিতে পানির সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছে,। কিন্তুু ১২ এপ্রিল বিকাল ৫টার পরে দেখা মিললো ৭ জনের, প্রশ্ন এখানে বাকিরা কোথায় গেল তারা কি স্বজনদের কাছে নাকি অন্য কোথাও। এদিকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক স্থানীয় জনসাধারণ বলেন এখানে অর্থ বাণিজ্য হয়েছে তাই তাদেরকে রাত্রে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তবে নিউজ এর স্বার্থে সকল প্রকারের তথ্য রয়েছে প্রতিনিধির কাছে।
এব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উপরে র নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছি, দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস সারবিশ্বের মানুষ আতংক আমরাও আতংক তাই এমনটি করতে হয়েছে।
অবশেষে তিনি বলেন এখানে যারা স্কুলে বদ্ধ অবস্থায় আছে তাদের প্রত্যেকের নাম ঠীকানা মোবাইল নাম্বার রেখে নিজ নিজ বাড়ীতে সেইফ জোনে থাকতে বলে ১২/৪/২০২০ সন্ধ্যা ৭টা সময় ছেড়ে দেওয়া হয় একথা বলেন চেয়ারম্যান আলকাপ ছোট বিঘাই ইউনিয়ন। তবে কোরআন টেনে রাখা কিছু ব্যক্তিকে অর্থের বিনিময় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মিডিয়াকর্মীদের বলেন এটা মিথ্যে বানোয়াট একথা বলেন গণমাধ্যম কর্মীদের চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার ছোট বিঘাই ইউনিয়ন।